মাথা কাটার পর খুলি দিয়ে বালিশ তৈরি করেন ওঁরা ! খাবারও খান সেই খুলিতেই

মাথা কাটার পর খুলি দিয়ে বালিশ তৈরি করেন ওঁরা ! খাবারও খান সেই খুলিতেই

মাথা কাটার পর খুলি দিয়ে বালিশ তৈরি করেন ওঁরা ! খাবারও খান সেই খুলিতেই
মাথা কাটার পর খুলি দিয়ে বালিশ তৈরি করেন ওঁরা ! খাবারও খান সেই খুলিতেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিউ গিনির ঘন জঙ্গলের অনাবিষ্কৃত অঞ্চল। আধুনিক মানুষের পা সেই অর্থে এই অঞ্চলে পড়েনি। এই অঞ্চলেই আসমত উপজাতির বাস।

আসমত উপজাতির মানুষেরা শুধু তাঁদের শত্রুদের শিকার করার জন্য নন, রীতিমতো শত্রুদের মেরে তাঁদের মাংস খাওয়ার পদ্ধতির জন্যও কুখ্যাত।

এই উপজাতির যোদ্ধারা নৃশংস ভাবে হামলা চালান শত্রুপক্ষের উপর। হামলা চালিয়ে শত্রুদের হত্যা করে ফেলেন তাঁরা।

শত্রুপক্ষের মাথা কেটে খাওয়াকে বীরত্ব এবং উপজাতীয় আনুগত্যের প্রতীক বলেই মনে করেন আসমত উপজাতির মানুষ।

তবে কী করে এই উপজাতির সদস্যেরা মৃতদের মাথা ভক্ষণ করেন, তা জানলে যে কোনও মানুষ অবাক হতে বাধ্য।

আসমতিরা প্রথমে কাটা মাথার বাইরের অংশের চামড়া কেটে বাদ দিয়ে দেন। এর পর উনুনে রেখে ভাজা হয় মাংসযুক্ত ওই খুলি।

আসমত উপজাতির এই ভয়াবহ আচারপদ্ধতি অন্যান্য উপজাতির মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করলেও নিজেরা বিশ্বাস করেন, মানুষের মাথা একটি পবিত্র খাদ্যবস্তু এবং মানুষের মাথাকে গাছের ফলের সঙ্গেও তুলনা করেন তাঁরা।

মাথা কাটার পর বাকি দেহ নিয়েও কারসাজি করতে ছাড়েন না এই উপজাতির মানুষেরা। কাটা দেহ নিজেদের উরুর উপর রেখে প্রার্থনা করেন তাঁরা। মনে করেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির দৈহিক ক্ষমতা তাদের কাছে চলে আসবে।

খুলিগুলি অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করার পাশাপাশি বাড়ির সাজসজ্জাতেও কাজে লাগান আসমত উপজাতির সদস্যেরা।

মাথার খুলিগুলিকে বালিশ হিসাবেও ব্যবহার করেন তাঁরা। পাশাপাশি এই খুলিগুলিকে অর্ধেক করে তা খাবার খাওয়ার পাত্র হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

বিভিন্ন প্রাণীর মস্তিষ্ক এবং সাগো কৃমিই আসমত উপজাতির প্রধান খাদ্য।

মৃতদেহের মেরুদণ্ডের বিভিন্ন অংশ এবং চোয়াল দিয়ে কানের দুলও বানান আসমাত উপজাতির সদস্যেরা।

আসমত উপজাতির কোনও সদস্যের মৃত্যু হলেও তাঁরা সেই সদস্যের মাথা কেটে নেন। কাটা মুণ্ডু থেকে চোখ এবং ঘিলু বের করে নেওয়া হয়।

এই উপজাতির বিশ্বাস, মৃত্যুর পর নাকের ছিদ্র বন্ধ করে রাখলে প্রেতাত্মারা শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই মৃত্যুর পর তাঁদের নাকের গর্তও বুজিয়ে দেওয়া হয়।

আমেরিকার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট নেলসন রকফেলারের পঞ্চম সন্তান মাইকেল রকফেলার ১৯৬১ সালের নভেম্বর মাসে এমন একটি এলাকা থেকে নিখোঁজ হন, যেখানে অসমত জনজাতির বসবাস।

পরে তাঁর পরিবারের তরফে এক জন গোয়েন্দাকে সেই এলাকায় তদন্তের জন্য পাঠানো হলে এই উপজাতির কিছু মানুষ তাঁকে জানান যে, তাঁরা সম্প্রতি এক জন শ্বেতাঙ্গকে মেরেছেন। এর পর ওই গোয়েন্দা তিনটি খুলি নিয়ে সেই জায়গা থেকে আমেরিকা ফিরে আসেন। এই খুলির মধ্যে একটি খুলি আসমত উপজাতির সদস্যদের দ্বারা হত্যা করা ওই শ্বেতাঙ্গের ছিল।

সৌভাগ্যক্রমে বর্তমানে আসমাতিরা আর শত্রুপক্ষের মাথা কেটে খাওয়ার এবং খুলি বের করার অনুশীলন মেনে চলেন না। ১৯৮০ সালে এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply